19th Ave New York, NY 95822, USA

দেনিজলি: কটন ক্যাসেল খ্যাত তুলাের দেশের গল্প

দেনিজলি কভার

চার ঋতুর দেশ তুরস্কে গ্রীষ্মকাল চলে জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত। এই সময়টা ভ্রমণপিপাসু তুর্কিরা বেরিয়ে পড়ে প্রকৃতি ও অকৃত্রিম সৌন্দর্যমণ্ডিত তুরস্কের আনাচে-কানাচে। গ্রীষ্মকালীন এই সময়টাতে যদি কোন তুর্কিকে জিজ্ঞাসা করেন, গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কোথায়। কাটাতে চান? তুর্কিরা সময় ক্ষেপণ না করেই ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী শহর আনতালিয়া এবং এজিয়ান সাগর তীরবর্তী ইজমির শহরের নাম বলবে। তবে এই দুই শহরে যাবার পথে আপনার গাড়ির চাকা অবশ্যই দেনিজলিতে থামাতে হবে। কেননা দেনিজলির পামুক্কালির সৌন্দর্য না দেখলে আপনার সফর পূর্ণতা পাবে না। এতক্ষণে হয়তবা বুঝেছেন দেনিজলি শহরের ভৌগলিক অবস্থান। এরপরও আরেকটু পরিষ্কার করে বলি, দেনিজলি শহর তুরস্কের চারটি Bolge এর মধ্যে অন্যতম দুইটি Bolge এর মধ্যস্থানে অবস্থিত।

এর উত্তরে এগে বােলগে এবং দক্ষিনে আকদেনিজ বােলগে। দেনিজ এর বাংলা অর্থ সাগর। দেনিজলি মানে সাগরময়। শহরের দুই পাশের শহরে দুই সমুদ্র ভূমধ্যসাগার এবং এজিয়ান সাগরের অবস্থানের কারণেই হয়তবা নিজ সীমানায় সাগর না থাকতেও এর নাম দেনিজলি (সাগরময়)। শহরটি বাইজেন্টাইন এবং তুর্কিদের কাছে বারবার হাত বদলের পর সর্বশেষ ১৪২৯ সনে চূড়ান্তভাবে ওসমানী খেলাফতের অধীনে আসে। 

আয়তন ও জনসংখ্যা

তুরস্কের অন্যতম শান্ত, নিরব এই শহরের আয়তন বারাে হাজার একশত তেত্রিশ কিলােমিটার। সর্বমােট ১৯ টি জেলা এবং ২০ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এই বিভাগের সর্বমােট জনসংখ্যা ১০ লক্ষ ২৭ হাজার।

অর্থনীতি

দেনিজলি শহরের অর্থনীতি শিল্প, কল-কারখানা এবং বাণিজ্যের উপর ভিত্তি করে চলে। তুরস্কের টেক্সটাইলের শহর খ্যাত শহরটি তুরস্কব্যাপী টেক্সটাইল ব্যবসা ধসে এখন মার্বেল, প্রাকৃতিক পাথর এবং মটরযন্ত্র সরবরাহ এবং তাঁত শিল্প এর মূল অর্থনৈতিক আয়ের সেক্টর।

তবে হ্যাঁ, এই শহরের তাঁত শিল্প জগৎ বিখ্যাত। তােয়ালে জাতীয় সকল পণ্যের জন্য তুরস্ক বিখ্যাত আর তুরস্কের তােয়ালে উৎপাদনে দেনিজলি শহর বিখ্যাত। দেনিজলিতে বেড়াতে আসলে যাবার সময় অবশ্যই একটি তােয়ালে হাতে করে নিতে ভুলবেন না!

আবহাওয়া 

দেনিজলি শহর এগে এবং আকদেনিজ দুই বােলগের আবহাওয়া পেয়েছে। কিছুটা নাতিশীতােষ্ণ বলা চলে। হাড় ভাঙ্গা শীত যেমন নেই, মাঠ পােড়ানাে রৌদ্র ও তেমন নেই। শীতের সময়ে অর্থাৎ ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে গড় তাপমাত্রা ৫.৮ থেকে ৭.০০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন -১০.৫ যদিও এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেনিজলিতে দেখা যায় না বললেই চলে। গ্রীষ্মকাল অর্থাৎ জুন, জুলাই, আগষ্টে গড় তাপমাত্রা ২৪.২-২৬.৮ এবং সর্বোচ্চ ৪৪.১ তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা টা তেমন দেখা যায় না বললেই চলে। এই দুই আবহওয়া নিয়ে বাংলাদেশ থেকে আসা যে কোন ব্যক্তি খুব সহজেই মানিয়ে নিতে পারবেন।

যােগাযােগ ব্যবস্থা

অন্যান্য শহরের সাথে যােগাযােগের জন্য রয়েছে বিমান, ট্রেন এবং বাস এর ব্যবস্থা। বাসে যে কোন শহরে যেতে পারলেও প্লেনে শুধু কিছু বড় শহরে যেতে পারবেন। ট্রেনেও এসকিশেহির, ইসপার্টা, ইজমির শহরের যাতায়াত করতে পারবেন। অভ্যন্তরীণ যাতায়াতের জন্য রয়েছে সবুজ সাদা রং এর পৌরসভার বাস। ডিজিটাল কার্ড সিস্টেমে সাধারণ নাগরিকরা ৩ লিরা এবং স্টুডেন্ট ২ লিরা দিয়ে পৌরসভার যে কোন বাসে যে কোন স্থানে যেতে পারে। অবশ্য শহীদ, গাজীদের পরিবার এবং বৃদ্ধদের জন্য রয়েছে সারা শহরে ফ্রী তে যাতায়াতের সুবিধা। এই জন্য ওনাদের স্পেশাল বাস কার্ড দেওয়া হয়। এছাড়াও স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতের জন্য রয়েছে মাইক্রোবাস টাইপের ছােট যানবাহন। শহরের মূল কেন্দ্র জনবসতি বহুল হলেও অত্যধুনিক যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকায় ট্রাফিক সিগনালের বাহিরে কোথাও আপনার গাড়ি থামাতে হবে না। এই শহরে বসবাস খুব বেশি ব্যয়বহুল নয়। অনেকাংশে বাংলাদেশের ঢাকা শহরের মতােই খরচ। দুই জনের ফ্যামেলি ২৫-৩০ হাজার টাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে মাস কাটিয়ে দিতে পারবে।

বিশ্ববিদ্যালয়

ঐতিহাসিক স্থান পামুক্কালির নামে ১৯৯২ সনে শহরের মূল কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠিত হয় পামুক্কালি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৬টি ফ্যাকাল্টি, ৬টি ইন্সটিটিউটে প্রায় ৫২ হাজার ৩৩২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে অন্য কলামে বিস্তারিত থাকবে।

বিনােদন 

বাংলাদেশে যেমন জালের মতাে নদী ছড়িয়ে রয়েছে। তুরস্কে তেমন পাহাড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যেখানেই যান না কেন পাহাড় থাকবেই। আর এই পাহাড় এর পাদদেশে কৃত্তিম ভাবে তৈরি করা হয়েছে শত শত পার্ক। তুরস্কের পরিবারগুলােকে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলােতে বাসায় এক প্রকার পাবেন না বলা চলে। কেননা ঐ সময়টায় তারা পরিবারকে নিয়ে পিকনিক করতে চলে আসে পাহাড় ঘেরা পার্কগুলােতে। দুপুর হলেই পার্কগুলােতে BBQ এর ঘ্রাণে সুবাসিত হয়। এছাড়া প্রতিটি মহল্লায় রয়েছে বাচ্চাদের খেলার পার্ক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের সকালে ব্যায়াম করার যাবতীয় উপকরণ। তুরস্কের এগে বােলগের সবচেয়ে উচ্চতর ক্যাবলকার রয়েছে এই শহরে। এর উচ্চতা ১৫০০ কিলােমিটার। বাস টার্মিনাল থেকে ক্যাবলকার চলার স্পট ১৩০ নাম্বার বাস কিংবা Yeni Yol নামক গাড়ীতে করে আধ ঘন্টার মতাে সময়।

পামুক্কালি

পামুক্কালি দেনিজলি শহরের একটি পৌরসভার নাম। যার নামে এই শহর পরিচিত দুনিয়াব্যাপী। পামুক এর বাংলা অর্থ তুলাে। প্রথমেই এই শহরকে তাঁত শিল্পের শহর বলে পরিচিত করিয়েছিলাম। এই শহরকে বলা হয় The Cotton Castle। ঐতিহাসিক পামুক্কালি দেখতে তুলােয় মােড়ানাে এক অট্টালিকা মনে হবে। পামুক্কালিতে ১৭ টি উষ্ণ ঝর্না রয়েছে যেখান থেকে সবসময় গরম পানি নির্গত হয়। ৫৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ১০০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের এই গরম পানির প্রবাহ ও ক্যালসিয়াম কার্বনেটের হাজার বছরের মিশ্রণে তৈরি হয় এই বৃহৎ পাললিক শিলার পাহাড়। স্থানটিকে ১৯৮৮ সালে ইউনিসেফ বিশ্বের ঐতিহাসিক স্থানের একটি হিসেবে ঘােষণা দেয়। তবে হ্যাঁ, অন্যান্য পাহাড়ে চলার সাথে এর পার্থক্য হলাে এই পাহাড়ে জুতা পায়ে হাঁটা নিষিদ্ধ। সম্পূর্ণ পাহাড় খালি পায়ে উঠতে হবে। আপনি যখন পাহাড়ের উপর দিয়ে হাঁটবেন তখন আপনার পায়ের নিচে চিন চিন করে গরম পানি প্রবাহিত হবে। এ এক অন্য অনুভুতি। এছাড়াও পাহাড়ের পাশ ঘেষে পানির নালা রয়েছে সেখানে নিয়মিত গরম পানি প্রবাহিত হয়। আপনি সেই নালায় নেমে হেঁটে পাহাড়ের উপরে উঠে যেতে পারবেন। । পাহাড়ের মাঝে মাঝে তৈরি হয়েছে পানির ডােবা, সেখানে আপনি সূর্য-স্নান করে নিতে পারবেন।

ছবিতে মেঘ সূর্যের লুকোচুরি ও পামুক্কালের ঝর্ণা বিধৌত পাহাড় দেখা যাচ্ছে

পাহাড় শেষ করেই আপনি প্রথম যে কদমটা ফেলবেন সেটা হলাে হাজার বছরের ঐতিহাসিক নগরী হিয়ারােপলিস এ। যাকে “পবিত্র। শহর” বলা হয়ে থাকে। ঐতিহাসিক এই শহরটি পর্যায়ক্রমে রােমান, বাইজেন্টাইন, সেলজুক ও অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে ছিলাে। শহরটির শুরু কখন তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। আর্কিওলজিষ্টদের মতে খ্রিষ্টাপূর্ব ২ শতাব্দীর পূর্বেও এখানে জনজীবন শুরু হয়। তবে শহরটি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক পবিত্র শহর। শহরটিতে অসংখ্য গির্জা থাকায় শহরটি খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের কাছে পবিত্র শহর ধারনা করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৭ শতাব্দীতে এই শহরে গির্জা নির্মাণ করা হয়। এই শহরটিতে যিশু খ্রিষ্টের ১২ প্রতিনিধির একজন সেন্ট ফিলিপস ধর্ম প্রচারে আসেন এবং এখানেই তাকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে তার মাজার এখানেই করা হয় এবং রােম ও বাইজেন্টাইন এর শাসনামলে শহরটি পবিত্র ও আধ্যাত্মিক তীর্থস্থানে পরিণত হয়।

এছাড়াও শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কবর। তখন মূলত পাথরের কফিনে মানুষের মৃত দেহ সমাহিত করা হতাে। এই কফিনগুলাের মধ্যেও ফুটে উঠেছে রােমানদের শিল্পকলার সৌন্দর্য। শহরটি শুধু ধর্মীয় তীর্থস্থান না, ডাক্তার বা রােগীদের ও তীর্থস্থান ছিলাে। এখানকার ঝর্ণার গরম পানি দিয়ে বিভিন্ন রােগের চিকিৎসা করা হতাে বলে জানা যায়। পাহাড় শেষ করেই একটি যাদুঘর দেখতে পাবেন। সেখানে তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন গীর্জার মূর্তি দেখতে পাবেন…এছাড়াও বিগত সাম্রাজ্যের ব্যবহৃত মুদ্রা ও বিভিন্ন জিনিস দেখতে পাবেন। যাদুঘরে ঢুকতে আলাদা করে কোন টিকেট এর প্রয়ােজন নেই। যাদুঘর শেষ করেই মিলবে Antique Pool নামে সুইমিংপুল। তবে এটা এখনকার সময়ে নির্মিত কোন সুইমিংপুল না। বরং রােমানদের সময়ে। নির্মিত পুল। এই পুলে নামতে হলে অবশ্যই আপনাকে আলাদা করে টিকেট কাটতে হবে।

এছাড়াও শহরের প্রবেশদ্বারের পরপরই রয়েছে বাথরুম যেখানে বাহির থেকে আগত অথিতিদের গােসল করিয়ে প্রবেশ করানাে হতাে। যেন কোন প্রকার ছোঁয়াচে রােগ প্রবেশ করতে না পারে। যাকে আজকাল করােনা সময়কালীন স্প্রে টানেল এর অতীত ভার্সন বলা যায়। হেয়ারােপলিসে রয়েছে এক সুবিশাল থিয়েটার যা প্রায় এক হাজার বছর পূর্বে নির্মিত। প্রায় ১০ হাজার মানুষ এক সাথে বসে এই থিয়েটারের সাংস্কৃতিক প্রােগ্রাম উপভােগ করতে পারতাে। পামুক্কালিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিশাল টুরিস্ট ইন্ডাস্ট্রি। প্রতিবছর প্রায় ২ মিলিয়ন পর্যটক তুরস্ক ও তুরস্কের বাহিরের দেশ থেকে পামুক্কালিতে আসে। এছাড়াও সুটিং স্পট এর জন্যও পামুক্কালিকে ব্যবহার করে আসছে বলিউডের মতাে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিগুলাে। পামুক্কালি নামে তুরস্কের অত্যাধুনিক এক বাস কোম্পানি রয়েছে। হিয়ারােপলিস এর পাশেই রয়েছে আরেক ঐতিহাসিক শহর লাউডােকিয়া।

দেনিজলিতে বাংলাদেশী কমিউনিটি কেমন আছে?

সবার পক্ষ থেকে যদি বলি আলহামদুলিল্লাহ সবাই ভালাে আছি। দেনিজলি শহরে সর্বমােট আমরা ১১ জন শিক্ষার্থী রয়েছি যারা প্রত্যেকেই এখানকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পামুক্কালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে অধ্যয়নরত। ছুটির দিনগুলাে এবং বাংলাদেশের জাতীয় দিনগুলাে সবাই একসাথে উত্যাপন করি এবং বাঙালি ভােজের আয়ােজন করে থাকি। আমরা সবাই এক সাথে বাংলাদেশকে তার্কিদের ও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

পামুক্কালিতে কিভাবে আসবেন? পামুক্কালিতে ঘুরার জন্য কি প্রয়ােজন? পামুক্কালিতে ঘুরতে আসার উত্তম সময় হচ্ছে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর এর সময়টা। বিমান পথে আসতে হলে, Denizli Cardak Havalimani বিমানবন্দরে আপনার বিমান ল্যান্ড করার সাথে সাথে সময় ক্ষেপণ না করে Bay-Tur বাসটাতে উঠে পড়বেন। ১৫-২০ লিরা নিয়ে ঘন্টা খানেক এর মধ্যে বাস আপনাকে শহরের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। বাসটি প্রতিটি ফ্লাইট ল্যান্ড করার পর ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করে। একবার এই বাস মিস করলে পরবর্তী ফ্লাইট ল্যান্ড করা পর্যন্ত ওয়েট করতে হবে। না হলে মােট অংকের টাকা দিয়ে ট্যাক্সি করে আসতে হবে।

ট্রেন হয়ে আসলে, ট্রেন ষ্টেশন থেকে বের হয়ে মূল রাস্তার বিপরীতে চলে আসবেন। ওখানেই দেনিজলি বাস স্টেশন। যারা বাস যােগে আসবেন তারা দেনিজলি বাস স্টেশনে নামবেন। আপনি যে পথ দিয়েই আসুন না কেন আপনাকে দেনিজলি বাস স্টেশনে আসতে হবে কেননা এখান থেকেই পামুক্কালি যাওয়ার গাড়ি যায়। দেনিজলি বাস স্টেশন দ্বিতল বিশিষ্ট স্টেশন। আপনি উপর তলা থেকে গ্রান্ড ফ্লোরে নামবেন, ঐ খানে মাইক্রোবাস (Dolmus) গাড়ি দেখবেন। এই গাড়িগুলাে বাস স্টেশন থেকে সরাসরি পামুক্কালিতে পৌঁছিয়ে দিবে ২০-২৫ মিনিটে। বিনিময়ে ৪ লিরা নিবে জন প্রতি।

পামুক্কালিতে প্রবেশ পথে আপনাকে টিকেট নিতে হবে। টিকেটের মূল্য ৬০-৮০ লিরার মতাে। তবে আপনার যদি তুরস্কের মিউজিয়াম কার্ড থাকে তাহলে সেই কার্ড পাঞ্চ করে ঢুকতে পারবেন। আপনি যদি তুরস্কের ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে আপনার স্টুডেন্ট কার্ড দেখিয়ে আপনি একটি মিউজিয়াম কার্ড ৩০ লিরা দিয়ে ওখান থেকেই নিতে পারবেন । এই কার্ড আপনি তুরস্কের যে কোন মিউজিয়াম বা অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে প্রবেশের জন্য এক বছর ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি যদি এখানে রাত্রি যাপন করতে চান তাহলে পামুক্কালির মূল স্পট এর। পাশেই অনেক হােটেল পেয়ে যাবেন। কিংবা আপনি www.airbnb.com এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এক দিন/রাতের জন্য বাসা ভাড়া নিতে পারবেন। যেখানে রান্নার সকল সুযােগ সুবিধা পাবেন। আসার সময় মাইক্রোবাস যেখানে আপনাকে নামিয়ে দিয়েছিলাে ঠিক সেখান থেকেই আবার সেই গাড়িতে করে আপনি দেনিজলি বাস স্টেশনে চলে যেতে পারবেন। দেনিজলি শহরে ঘুরতে আসার নিমন্ত্রণ রইলাে।

লিখেছেন: মেহেদী হাসান। শিক্ষার্থী, পামুক্কালি বিশ্ববিদ্যালয়, দেনিজলি।

লেখাটি অ্যাবাস্টের ম্যাগাজিন ‘আনাতোলিয়া’ প্রথম সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়। অ্যাবাস্টের ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যার সবগুলো লেখা পড়তে ক্লিক করুন এখানে

Related Posts

Leave a comment